img

সারা বছরই আপেল পাওয়া যায়। স্বাদ এবং পুষ্টিতে ভরপুর আপেলের দুটি ধরন পাওয়া যায়। লাল এবং সবুজ। যদিও আপনি দুই ধরনের আপেল খেতেই পছন্দ করে কিন্তু কোনটি স্বাস্থ্যকর? আপনার কী মনে হয়? ভারতের একজন পুষ্টিবিদ শিখা কুমারী জানাচ্ছেন সেই কথা। 

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সবুজ আপেল স্বাদে টক এবং এর ত্বকও পুরু থাকে। অন্যদিকে লাল আপেল মিষ্টি, রসালো এবং পাতলা ত্বকের। মিষ্টির কারণে মানুষ সবুজের চেয়ে লাল আপেল পছন্দ করে।’

দুটি আপলের মধ্যে পুষ্টি উপাদানের কোনো পার্থক্য আছে?

এই দুই রঙের আপেলের মধ্যে পুষ্টি উপাদানে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। সবুজ আপেল ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে এর  একটি ভাল উৎস এবং এতে আরো আছে আয়রন, পটাসিয়াম এবং প্রোটিন । কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সবুজ আপেল ভালো। শিখা কুমারী আরো যোগ করে বলেন, আপনি যদি সামগ্রিক চিনির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করেন তবে সবুজ আপেল খাওয়া ভালো। অন্যদিকে লাল আপেলে থাকে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খেতেও  সুস্বাদু। 

তাহলে, সবুজ আপেল কি লাল আপেলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর?

দীর্ঘমেয়াদে সবুজ এবং লাল আপেল উভয়ই শরীরের ওপর একই প্রভাব ফেলবে যদিও সবুজ আপেলের পুষ্টিগুণ কিছুটা ভালো থাকে বলে জানান শিখা কুমারী।

ভারতের অন্য একজন পুষ্টিবিদ এবং খাদ্য প্রশিক্ষক অনুপমা মেনন বলেছেন, পুষ্টিতে সবুজ এবং লাল আপেলের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ভিটামিন এ লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে থাকে। ফলে সবুজ আপল দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমায় এবং হাড়ের যত্ন নেয়।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই ধরনের আপেল খাদ্যতালিকায় রাখাই হবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। কারণ দুটি একই জাতীয় ফল হলেও এদের গুণাগুণ আলাদা আলাদা ধরনের। তাই দুটিই একসঙ্গে খেতে কোনো অসুবিধা নেই। 

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এই বিভাগের আরও খবর